Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
NAMKORONER ETIHASH
Attachments

মনিরামপুর উপজেলার নামকরণের ইতিহাস

 
 
 
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।। 
মুরশিদাবাদের প্রতাপশালী জমিদার প্রেমত্বকরের পুত্র জলকর এবং প্রাজ্ঞ ধ্যানী সাধক মুণিরাম ঋষি’র একমাত্র কন্যা রূহিতার প্রেম উপখ্যানের ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয় মণিরামপুর। এই জনপদের ইতিহাস গবেষণায় বহু পৌরানিক কাহিনী ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে স্রোতস্বিনী হরিহর নদের তীরে গড়ে উঠা ইতিহাসের চোরাবালিতে বিলুপ্ত মণিরামপুরের নানান লোকগাঁথা। যিশুখ্রীষ্টের জন্মের সাড়ে সাত হাজার বছর পূর্বে দক্ষীণের বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় যে অঞ্চলের জঙ্গল কেটে কেটে বৈদিক যুগে গড়ে উঠেছিল অনার্যদের বসবাস এবং তারও কয়েক হাজার বছর আগে যখন দক্ষীণ অঞ্চল পানির তলে অবস্থান করছিল তখন সুন্দরবন সহ যশোর, মণিরামপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ায় সভ্যতার পৃষ্ঠা জেগে উঠে ও মানব জাতির বসবাস শুরু হয়।
প্রাচীন গ্রন্থ ‘ঐতবেয় আরন্যকে’ উল্লেখ আছে অনার্য বা অসভ্য জাতি বৃক্ষ, সূর্য, চন্দ্র প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানকে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করতেন। অনার্য যুগের পরবর্তী সময়ে দ্রাবিড় বা অর্দ্ধ সভ্য মানুষ বেদের কঠিন শুক্ত ভাব ভাষা বোধগম্য না হওয়ায় পৌরানিক যুগে এসে ভক্তিবাদ রূপকাশ্রিত
মুর্তি পূজা শুরু করে। সিংহ, বাঘ, সর্প, প্রভৃতি শক্তিধর জীবজন্তু তাদের পূজা পায়। এই দ্রাবিড়গণ অনার্যদের সাথে মিশে সভ্যতার এক নতুন দিক উন্মোচন করেন। বর্তমানে যশোরের বিভিন্ন অঞ্চলে যে ডোম এবং বুনো নামে দুটি পৃথক গোষ্ঠী বাস করে তারা অনার্য ও দ্রাবিড় জাতির মিশ্রিত জাতি বলে কথিত। আজও তারা শিক্ষা ও সভ্যতার অন্তরালে থেকে এক অন্ধকারময় জীবন যাপন করছেন। মণিরামপুরের হোগলড্গা, মধুপুর ও ঘুঘুদাহ সহ কয়েকটি গ্রামে এই প্রাচীন ডোম ও বুনোদের বসবাস লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীকালে আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৩৫০০ বছরেরও পূর্বে আর্য নামে একটি সভ্য জাতি পোল্যান্ড এবং মধ্য এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল হতে বাসভূমি ও সহজ খাদ্য সংস্থানের জন্য বা দিগবিজয়ের নির্মিত্তে বের হয়ে একদল পারস্যে এবং অপর দল ভারতবর্ষের সিন্ধু প্রদেশে বসতি স্থাপন করে। এই আর্য জাতি বৈদিক ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ঋক, সাম, যজু, অর্থব গ্রন্থগুলি আর্য সভ্যতার পথিকৃৎ। আর্যদের যে শাখা পারস্যে বসতি স্থাপন করছিলেন স্থানীয় প্রভাবে বিকৃত উচ্চারণ হেতু সিন্ধু নদকে হিন্দু নদ বলতেন। এই হিন্দু নদের তীরে বসতি স্থাপনকারী আর্য গোষ্ঠীকে তারা হিন্দু বলে অভিহিত করতেন। যা পরবর্তীতে মহত্বা গান্ধী রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু নামে সীলমোহরকৃত জাতিতে পরিণত করেন।
কালক্রমে হিন্দু জাতি প্রাচীন ভারতের সকল জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। যশোর ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলেও তারা বসতি স্থাপন করেন। হিন্দু সম্প্রদায় (মিলিত অনার্য, দ্রাবিড় ও আর্য) এর প্রাচীন বৈদিক প্রথায় মণিরামপুরের দূর্গপুর গ্রাম কতটা সম্পৃক্ত এবং মণিরামপুর যে পৌরানিক যুগ থেকে দুর্গাপুর নামে পরিচিত ছিলো তার সুবিশাল তাত্ত্বিক ইতিহাস ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা হবে।
সেই আদিযুগ থেকে মানুষ গবেষণায় লিপ্ত। সময়ের সাথে গবেষণার ব্যপ্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যেটা পেয়েছেন পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয়েছিল ২২০ কোটি বছর আগে। অর্থাৎ আগের ধারণার চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশী আগে প্রাণের সূচনা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ভূখন্ডে প্রাপ্ত পাতলা কাঠের টুকরোয় জীবাশ্ম পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা পেয়েছেন। এ বিষয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ ক্যাম্ব্রিয়ান রিসার্চ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত। বিজ্ঞানীরা ঐ কাঠের টুকরোর নাম দিয়েছেন ‘ডিসকাগমা বোটানি’। এর অর্থ চাকতি আকৃতির কাঠের বোতামের টুকরো। এই জীবাশ্ম প্রকৃতপক্ষে কিসের তা বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে এটা নিশ্চিত যে ওই জীবাশ্ম অন্তত কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের নয়। জিওলজিক্যাল সায়েন্সের প্রধান গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি জে রিটালাক জানান এই জীবাশ্মের সঙ্গে বর্তমানে মাটির উপাদান জিওশিফন ফাঙ্গাসের গঠনের মির আছে। এ ফাঙ্গাসের অভ্যান্তরিন গর্ত সিমবায়েটিক সায়ানো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে পূর্ণ থাকে। তিনি বলেন এই সায়ানোব্যাকটেরিয়া যা ভূমিকে সবুজ করতে ভূমিকা রাখে। এর ফলে ২২০ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি পায় বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে এখন আসি মণিরামপুরের অস্তিত্বে। প্রথমে নামকরণের ইতিহাস। এ নিয়ে রয়েছে নানান কাহিনী, গল্প আর পৌরানিক ব্যাখ্যা। গ্রীক ইতিহাস লেখার জন্য, হিরোডটাস এর মতো ইতিহাসের জনক থাকলেও ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলার ইতিহাস লেখার জন্য কেউ ছিলো না। তবে সম্রাট আকবর এর শাসনামলে আবুল ফজল লিখিত ‘আকবরনামা’ ও আইনই আকবর বহু যুগের প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। এছাড়া মির্জা নাথান এর বাহারীস্থান-ই গায়বী, এম এ রহিম এর বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ডব্লিউ এইচ মোরল্যান্ড এর ‘এ্যাগরোরিয়ান সিস্টেম অব ইন্ডিয়া’। পরবর্তীতে সতীশচন্দ্র মিত্র রচিত যশোর-খুলনার ইতিহাস ১ম খন্ড ১৯১৪ সালে এবং ২য় খন্ড ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। সকল ইতিহাস পর্যালোচনা ও গবেষণা করলে কয়েকটি শক্ত যুক্তি প্রমানের সন্ধান মেলে। তার মধ্যে যশোর রাজ্যের সীতারাম রায় ১৬৯৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তার বন্ধু ও পরামর্শদাতা প্রখ্যাত আইনজ্ঞ উকিল মুণিরাম রায়কে নিয়ে নানা কাহিনীর সাথে মুণিরামের কন্যার সাথে রাজা সীতারামের বিবাহ জটিলতা এবং মণিরামপুর সৃষ্টি। তারও পূর্বে প্রগৈতিহাসিক যুগের হাজার বছর পিছনের ইতিহাসে ফিরলে জানা যায় আটলান্টিক হয়ে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী গভীর জঙ্গলের সাপদময় এই মণিরামপুর এর হরিহরনগর অঞ্চলে দেড়শত হাতির পিঠে চড়ে কখনো সাগর নদীপথে, কখনো স্থল পথে, কখনো জঙ্গল ভেদ করে এক বীরযোদ্ধার আগমন ঘটে । সেই মহাবীর ‘মারাঙ রামমণিক্য’ এখানে বসতি স্থাপন করেন। প্রাচীন পরাশয়া পুরাণের সপ্তদশ খন্ডে বলা হয়েছে রামমণিক্যচরের মানুষ অর্থাৎ আজকের মণিরামপুরের মানুষ মহাবীর মারঙ রামমণিক্যের বংশধর। তখন বঙ্গোসাগরের উপকণ্ঠের এই অঞ্চলকে বলা হতো রামমণিক্যচর। ঐ সময় বঙ্গোপসাগর থেকে গঙ্গা-পদ্মার মাঝখানের বিশাল সুন্দরবনের উপকন্ঠ রামমাণিক্যচর নামে পরিচিত ছিল। তাদের ভাষা ছিলো বিকৃত নানান ভাষার মিশ্রণ। কথিত আছে প্রাচীন মঙ্গলীয় ও স্পেন অঞ্চলের নারীরা পরবর্তীতে এই বীরদের কাছে এসে মিলিত হতেন তাদের গর্ভে বীরসন্তান ধারণ করবার জন্য। সেই সূত্রে স্পেনের শাসক ইসাবেলা, ফার্র্ডিন্যান্ড (কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের পূর্বের শাসক) এই মহাবীর মারাঙ রামমণিক্যের বংশধর ছিলেন এটা বলা যেতে পারে। পূরাণের বিশাল এই রাম মণিক্যচর সম্পর্কিত কাহিনী জানা যাবে। এছাড়া মণিরামপুর নামকরণের আরও বিশ্বাসযোগ্য কাহিনী- যেটা দিয়ে লেখা শুরু হয়েছিল- অলিখিত ইতিহাসের চোরাবালিতে বিলুপ্ত হয়েছে আমাদের বীরত্বগাঁথা। আবার অজানা বয়ে গেছে বাংলার স্বাধীন নবাব শেরশাহ ১৫৪১ সালে যশোর থেকে ফাতেহাবাদ, যশোর থেকে মণিরামপুর হয়ে সাতক্ষীরার এই রাস্তাটি নির্মাণ করেন এবং বেশ কয়েকবার মণিরামপুরের উপর দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে সাতক্ষীরা গমন করেন।
সুবাবাংলার নবাব মুরশিদকুলি খান ১৭০৪ সালে ক্ষমতা দখল করার পর বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুরশিদাবাদে স্থানান্তর করেন। তার নামানুসারে মুরশিদাবাদের নামকরণ করেন। ১৭১১ সালে নবাব মুরশিদকুলি খান প্রেমত্বকরকে মুরশিদাবাদের জমিদার এর দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৭১৫ সালে জমিদার প্রেমত্বকরের পুত্র জলকর ভালোবাসেন ঐ একই রাজ্যের জায়গীর প্রাজ্ঞ সাধক মুণিরাম ঋষির একমাত্র কন্যা রূহিতাকে। জলকর ও রূহিতার প্রেম যখন তুমূল পর্যায়ে তখন সারা রাজ্যময় জানাজানি হয় এবং জমিদার প্রেমত্বকর জানতে পেরে মুনিরাম ঋষিকে তার জায়গীর থেকে উচ্ছেদ করেন। এ ঘটনায় মর্মাহত হয়ে মুণিরাম ঋষির স্ত্রী শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তখন মাতৃহীন কন্যা রূহিতাকে নিয়ে বাবা মুণিরাম ঋষি জমিদারের রক্ত চক্ষুর আড়ালে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন এবং নিরুদ্দ্যেশ যাত্রা করেন। নদীপথে ভাসতে ভাসতে এক গভীর রাতে হরিহর নদের ঘাটে ভেড়েন এবং সামনে একটি বিস্তৃত পাকুড় গাছ দেখে তার তলায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। বর্তমানে মণিরামপুর মশুরী হাটের কালী মন্দীরের বটগাছ সাদৃশ পাকুড় গাছ তলায় বাবা মুণিরাম ঋষি ও কন্যা রূহিতা রাত্রী যাপন করেন। মণিরাম ঋষি ছিলেন লম্বা সুঠাম দেহের লম্বা চুলের ধ্যানী সাধক পুরুষ। চোখের গভীরে লুকানো ইতিহাস তার জ্ঞান প্রজ্ঞার প্রতিচ্ছবি। প্রাচীন গ্রন্থ পাঠে ছিলো তার গভীর মোহ। সকাল হতেই মানুষের ভীড় জমে যায়। সবাই দেখতে থাকে গভীর ধ্যানে মগ্ন এক সন্ন্যাসী সাধক দেবতা তুল্য ঋষি পুরুষকে। পাশে হাজার বছরের ক্লান্তির চোখে মায়াবী লক্ষী সুন্দরী রূহিতা (যার নামে মণিরামপুরের রোহিতা গ্রাম,পূর্বে মানচিত্রে রুহিতা ছিল)। ধ্যানে জ্ঞানে পূর্ণ সাধক ঋষি দৃঢ় মনোবল নিয়ে অর্জন করেন মানুষের ভালোবাসা। আর রূহিতার ভিতর বাহির একাই ভাবনায় প্রেমিক জলকর। হৃদয় মন্দিরে যার পূজা সর্বক্ষণ ঘুমে নির্ঘুমে স্থির রূহিতার ভিতরটা যেন অস্থির হয়ে ওঠে ক্রমশ। স্বপ্নের জাল ভেদ করে চোখের পাতায় ভাসতে থাকে নানান দৃশ্যকল্প। ওদিকে জমিদারপুত্র জলকর রূহিতাকে না পেয়ে দিগবিদিক খুঁজতে থাকে। তখন জলকর জানতে পারে তার বাবা প্রেমত্বকর রূহিতার বাবাকে জায়গীর থেকে উচ্ছেদ করেছে। সাথে সাথে জলকর ঘোড়া ছুটিয়ে সারা রাজ্যময় তোলপাড় করে ফেলে এবং কয়েকদিন পর জলকর রূহিতাকে খুঁজে পায় এই মণিরামপুরে। জলকর কাউকে কিছু না বলে রূহিতাকে ঘোড়ার পিঠে তুলে নিয়ে পালাতে থাকে। তখন মুণিরাম ঋষি যশোর রাজ্যের রাজা সীতারাম এর কোর্টে নালিশ জানায় এবং সাথে সাথে রাজ্যর নিরাপত্তা প্রহরী সৈন্যদল জলকর ও রূহিতাকে ধাওয়া করে। রূহিতা ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে এলামেলো দৌড়াতে থাকে। আর জলকরকে ধরে ফেলে আজকের জলকর গ্রামে এসে। যার নামে জলকর গ্রামের নামকরন। তারপর রূহিতা ও জলকর রাজা সীতারামের হেফাজতে বন্দি হয়। প্রেমের কাহিনী শুনে রাজা সীতারাম তাদের বিয়ে দিয়ে জমিদার প্রেমত্বকরকে বার্তা পাঠালে তীব্র ক্রোধে জমিদার জলকরকে ত্যাজ্য করে তার উত্তরসুরী থেকে বঞ্চিত করেন। তখন রূহিতা ও জলকর দু’জন অজানা পথে চলে যান যার খোঁজ আর কোনদিন মেলেনি। এদিকে মুণিরাম ঋষি সব হারিয়ে ধ্যানে মননে ভগবানের সান্নিধ্য লাভে নিজেকে সমর্পণ করেন। ক্রমে তিনি ধর্ম পালন আর জ্ঞান অন্বেষণের ভিতর দিয়ে সামাজিক হয়ে ওঠেন। মানুষের সুখে দু:খে একাত্ব হয়ে যান। এই বৃহৎ অঞ্চলের সর্ব শ্রেণীর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি এই মন্দিরেই জীবন পার করেন। ১৭২৮ সালে এই মহান প্রজ্ঞা সাধক মুণিরাম ঋষির মৃত্যু হলে এই অঞ্চলে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। মানুষের ভিতরের ভালোবাসার বহির্প্রকাশে আস্তে আস্তে এর নাম হয়ে যায় মুণিরামপুর। পরে মণিরামপুর। পরবর্তী সময়ে ১৯১৭ সালে ১৫ জুলাই ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় মণিরামপুর থানা। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১’ জানুয়ারী থেকে মণিরামপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল উপজেলায় রূপান্তর হয়। বর্তমানে ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে আমাদের প্রাণের ঐতিহ্যবাহী মণিরামপুর।।  ★★সংগৃহীত★★